শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে নেই কোন ঠিক ঠিকানা, শিক্ষার্থীরা দিসেহারা
করোনাভাই;রাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে কীভাবে চলবে, তা ঠিক করলেও কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে নেই কোন ঠিক ঠিকানা, শিক্ষার্থীরা দিসেহারা । আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে রোববার এক ভার্চুয়াল সভায় একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এদিনই তিনি সংসদে বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে যাবে। তার ওই বক্তব্যের পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার আলোচনা শুরু হয়।
আগামী এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাস ছোট করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। “যেন তারা তিন বা চার মধ্যে মধ্যে সেটা শেষ করতে পারে। তাদেরকে প্রতিদিন ক্লাস করানো হবে। যখন স্কুল খুলব, তখন তারা সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন ক্লাস করবে। আর বাকিরা আমরা ঠিক করেছি সপ্তাহে একদিন করে আসবে। যাতে নিরাপদ দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারি।”
বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি তুলে যারা বাংলাদেশেও তা করতে বলেছেন, সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মনে রাখতে হবে যে আমাদের দেশে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, প্রায়ই তাদের অনেক ক্ষেত্রে গাদাগাদি করে বসতে হয়। যেটি কোভিড পরিস্থিতিতে একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
“কাজেই আমরা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছি, যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল দিক তারা মেনে চলতে পারেন। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি করে দিয়েছি, কেন্দ্র থেকেও মনিটর করব।” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ভার্চুয়াল মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখন খোলা হবে তা মন্ত্রীর নিকট থেকে নির্দেশনা আসবে।”
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সকল ব্রাঞ্চ অফিসের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার
মহামারীকালে প্রায় এক বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, শিক্ষকদের উদ্দেশে সচিব বলেন, “যখন খুলবে তখন মনিটর করতে হবে কোন শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। ঝরে পড়ার মাত্রা যেন মিনিমামে রাখতে পারি। তার ব্যক্তিগত অবস্থানের বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। কীভাবে তাদের আনা যায়, তা আমাদের জানাতে হবে, এরপর পদক্ষেপ নেব।”
মাহবুব বলেন, “কোভিড আমাদের চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিয়ে গেছে। কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যেসব সুযোগ ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে পেরেছি।”
COMMENT